পথিক (বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ)

(0 reviews)

Sold by:
Inhouse product

Price:
৳150.00 /pc
Discount Price:
৳100.00 /pc

Quantity:
(98 available)

Total Price:
Share:

একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়ে যিনি ক্ষান্ত থাকেননি, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ টানা ২৪ বছর আমৃত্যু সংগ্রাম করে যিনি এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সেই মহানায়ক ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা। তার অমিত সাহস, অতুলনীয় অর্জন ও তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগের প্রতি আমাদের কুর্নিশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করে বাঙালি বিজয় লাভ করে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র  এই চারটি নীতি নিয়ে বাংলাদেশ গঠনে অগ্রসর হন তিনি। এ চার নীতি আমাদের সংবিধানের মূলনীতি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অঙ্গীকার। জাতীয়তাবাদ অর্থ সংকীর্ণ জাত্যভিমান নয়। উপনিবেশের বিরুদ্ধে জাতিসত্তার লড়াই। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে বঙ্গবন্ধুর কাছে ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করা নয় বরং সব ধর্মচর্চা ও পালনে স্বাধীনতার সুরক্ষা। সমাজতন্ত্র মানে প্রচলিত মার্কসবাদী রাষ্ট্র নয় বরং কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠন। আর, গণতন্ত্র হচ্ছে ধর্ম-বর্ণ-জাত নির্বিশেষে সবার রাজনৈতিক ও বাক-স্বাধীনতার রক্ষার কবচ।

উপনিবেশ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ শেখ মুজিবুর রহমান। কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কিংবদন্তি বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন, 'আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো। নোবেল বিজয়ী ইয়াসির আরাফাত বলেছেন, 'আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব ও কুসুমকোমল হৃদয় ছিল মুজিবের চরিত্রের বিশেষত্ব। 

আমরা বড় হতভাগ্য জাতি; স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ১৫ই আগস্ট এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা হয়। তারপর সামরিক শাসন ও রাজনীতির উত্থান-পতনে বাংলাদেশ হয়ে উঠে একটি দিকভ্রান্ত রাষ্ট্র। নিজের স্বাধীন করা রাষ্ট্রে ১৯৭৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ হয়ে উঠে বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৬ সালে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথম সরকার গঠনের পর তিনি আবার সরকারিভাবে স্মরিত হন।

২০০৮ সালে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় পর্বের টানা মেয়াদে সরকারের ধারাবাহিকতায় আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে তার জন্মশতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে দেশে-বিদেশে। স্বাধীন বাংলাদেশ আজ প্রাপ্য মর্যাদায় তার সেরা সন্তানকে স্মরণ করছে। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রধান উপজীব্য যে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসংকীর্ণ অর্থে জাতীয়তাবাদ এখনো কাঙ্খিত গন্তব্য খুঁজে পায়নি। আমাদের মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, কালোবাজারি, অর্থপাচার এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে তার দেশ্রপ্রেম, তার আপোশহীনতা, তার সততা, সবসময় মানুষের কথা ভাবা, মানুষের জন্য অসীম ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সত্যিকার অর্থে এটাই। তার সেই আদর্শ বাস্তবায়নই যেন হয় মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য।

মাসিক “পথিক” সাহিত্য পত্রিকার মুজিবীয় সংখ্যায় যে সকল কবি,সাহিত্যিক,উপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক লিখা দিয়ে আমাদের সংখ্যাটিকে অর্থবহ করে তুলেছেন, আপনাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। মুদ্রণজনিত ভুল সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এই প্রত্যাশা।


লিটন হোসাইন জিহাদ

মেড্ডা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

০১৭১৮২৯৩৭৯৮


There have been no reviews for this product yet.

Product Queries (0)

Login or Registerto submit your questions to seller

Other Questions

No none asked to seller yet